চুলকানি কেন হয়: এর কারণ ও প্রতিকা স্কয়ার-এর কিছু কার্যকর ঔষধ যা চুলকানি কমায়

চুলকানি: কারণ ও প্রতিকার (স্কয়ার-এর দৃষ্টিকোণ থেকে)

চুলকানি কেন হয়: এর কারণ ও প্রতিকা স্কয়ার-এর কিছু কার্যকর ঔষধ যা চুলকানি কমায়


চুলকানি একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এর পেছনের কারণ হতে পারে ভিন্ন। অ্যালার্জি, ছত্রাক সংক্রমণ, শুষ্ক ত্বক, পোকামাকড়ের কামড় বা একজিমা—সবকিছুই চুলকানির কারণ হতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সঠিক কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস সরাসরি কোনো "চুলকানির ঔষধ" নামে পণ্য তৈরি না করলেও, তাদের কিছু ওষুধ চুলকানি ও এর সাথে সম্পর্কিত ত্বকের প্রদাহ কমাতে অত্যন্ত কার্যকর।

স্কয়ার-এর কিছু কার্যকর ঔষধ যা চুলকানি কমায়

ফাংগিসাল-এইচসি (Fungisal-HC)

এটি একটি বহুল ব্যবহৃত ক্রিম, যা মূলত বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকজনিত ত্বকের সংক্রমণ এবং প্রদাহ কমাতে ব্যবহার করা হয়। ছত্রাকজনিত সংক্রমণ প্রায়শই চুলকানির কারণ হয়। Fungisal-HC এই ধরনের সংক্রমণকে আক্রমণ করে এবং এর ফলে সৃষ্ট চুলকানি ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি মূলত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত।


অন্যান্য সাধারণ চুলকানির ঔষধ

স্কয়ার ছাড়াও বাজারে আরো কিছু সাধারণ ও কার্যকরী ঔষধ রয়েছে যা চুলকানির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

ক্যালামাইন লোশন (Calamine Lotion)

হালকা চুলকানি, রোদে পোড়া ত্বক বা পোকামাকড়ের কামড়ের ফলে সৃষ্ট জ্বালা কমাতে ক্যালামাইন লোশন বেশ জনপ্রিয়। এটি ত্বকের উপর একটি ঠাণ্ডা অনুভূতি দেয় এবং চুলকানি তাৎক্ষণিকভাবে উপশম করতে সাহায্য করে।

ক্রোটামিটন লোশন (Crotamiton Lotion)

এটি মূলত খুসখুসে একজিমা, রোদে পোড়া, অ্যালার্জিক ফুসকুড়ি এবং পোকামাকড়ের কামড়ে চুলকানির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এই লোশন ত্বককে প্রশান্তি দেয় এবং চুলকানি কমায়।

অ্যান্টিহিস্টামিন (Antihistamines)

যখন চুলকানি অ্যালার্জির কারণে হয়, তখন অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট বা সিরাপ খুব কার্যকর। এই ঔষধগুলো শরীরে হিস্টামিন (Histamine) নামক রাসায়নিকের নিঃসরণ বন্ধ করে, যা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া এবং চুলকানি সৃষ্টির জন্য দায়ী। আমবাত (hives) এবং পোকামাকড়ের কামড়ে সৃষ্ট অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ায় এগুলি প্রায়শই ব্যবহৃত হয়।


গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

চুলকানির সঠিক কারণ নির্ণয় করা এবং সঠিক চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে প্রচলিত অনেক ঔষধ থাকলেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, ভুল ঔষধ ব্যবহার করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। একজন চিকিৎসক আপনার ত্বকের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সঠিক ঔষধ ও তার ব্যবহারের নিয়ম বলে দিতে পারবেন।

আপনার ত্বকের সুস্থতা আপনার হাতের মুঠোয়, তাই কোনো কিছু প্রয়োগের আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি সঠিক পথেই আছেন।


চুলকানি একটি খুবই সাধারণ সমস্যা, কিন্তু এর পেছনের কারণগুলো অনেক জটিল হতে পারে। চুলকানিকে ডাক্তারি ভাষায় "প্রুরাইটিস" (Pruritus) বলা হয়। এটি কোনো রোগ নয়, বরং বিভিন্ন রোগের একটি লক্ষণ।

চুলকানি কেন হয়?

চুলকানির মূল কারণ হলো আমাদের ত্বকের নিচে থাকা স্নায়ুগুলোর এক ধরনের অস্বস্তিকর সংকেত মস্তিষ্কে পাঠানো। বিভিন্ন কারণে এই স্নায়ুগুলো উদ্দীপ্ত হতে পারে। এর কয়েকটি প্রধান কারণ নিচে দেওয়া হলো:

  • শুষ্ক ত্বক: এটি চুলকানির সবচেয়ে সাধারণ কারণ। যখন ত্বক আর্দ্রতা হারায়, তখন তা শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়, যার ফলে চুলকানি হয়। শীতকালে বা কম আর্দ্রতার পরিবেশে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।

  • ত্বকের রোগ: একজিমা (atopic dermatitis), সোরিয়াসিস, ছত্রাক সংক্রমণ (যেমন দাঁদ), এবং স্ক্যাবিস (Scabies)-এর মতো রোগগুলো ত্বকে তীব্র চুলকানি সৃষ্টি করে।

  • অ্যালার্জি: কোনো নির্দিষ্ট বস্তুর প্রতি অ্যালার্জি থাকলে চুলকানি হতে পারে। যেমন—খাবার, পোকামাকড় কামড়ালে, নির্দিষ্ট কোনো গাছের পাতা, প্রসাধনী, সাবান বা ডিটারজেন্ট থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।

  • অভ্যন্তরীণ রোগ: কিছু গুরুতর অভ্যন্তরীণ রোগ যেমন—কিডনি বা লিভারের সমস্যা, ডায়াবেটিস, রক্তস্বল্পতা, এবং থাইরয়েডের সমস্যাতেও সারা শরীরে চুলকানি হতে পারে।

  • ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ঔষধ, যেমন—ব্যথানাশক (opioids), অ্যান্টিবায়োটিক এবং উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ, চুলকানি ঘটাতে পারে।


চুলকানি কি ছোঁয়াচে রোগ?

সব ধরনের চুলকানি ছোঁয়াচে নয়। চুলকানি ছোঁয়াচে হবে কিনা, তা নির্ভর করে এর কারণের ওপর।

ছোঁয়াচে চুলকানি:

  • ছত্রাক সংক্রমণ: দাঁদ বা অন্যান্য ছত্রাক সংক্রমণ ছোঁয়াচে হতে পারে, কারণ এটি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

  • স্ক্যাবিস (Scabies): এটি একটি পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট ত্বকের রোগ, যা আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে।

অ-ছোঁয়াচে চুলকানি:

  • শুষ্ক ত্বক, একজিমা, সোরিয়াসিস: এই কারণগুলোর জন্য যে চুলকানি হয় তা ছোঁয়াচে নয়। এটি একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়ায় না।

  • অভ্যন্তরীণ রোগ: কিডনি বা লিভারের সমস্যা বা অ্যালার্জির কারণে সৃষ্ট চুলকানিও ছোঁয়াচে নয়।


চুলকানির প্রতিকার

চুলকানি কমানোর জন্য কিছু সাধারণ ঘরোয়া উপায় আছে এবং কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

১. ঘরোয়া প্রতিকার

  • ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: ত্বককে আর্দ্র রাখতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। গোসলের পর হালকা ভেজা ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

  • ঠান্ডা সেঁক: চুলকানির জায়গায় ঠান্ডা ভেজা কাপড় বা বরফ দিয়ে সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়।

  • হালকা কাপড় পরা: ঢিলেঢালা এবং সুতির পোশাক পরুন, যা ত্বককে বাতাস চলাচল করতে দেয়।

  • ক্যালামাইন লোশন: হালকা চুলকানি বা পোকামাকড় কামড়ালে ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করতে পারেন।

  • গরম পানি এড়িয়ে চলুন: অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। হালকা গরম পানি ব্যবহার করা ভালো।

২. ঔষধ ও চিকিৎসা

  • অ্যান্টিহিস্টামিন: অ্যালার্জির কারণে চুলকানি হলে অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ সেবন করা যেতে পারে।

  • কর্টিকোস্টেরয়েড ক্রিম: একজিমা বা প্রদাহজনিত চুলকানির জন্য ডাক্তাররা প্রায়শই এই ধরনের ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

  • ছত্রাক-বিরোধী ক্রিম: যদি চুলকানি ছত্রাক সংক্রমণের কারণে হয়, তাহলে এর জন্য নির্দিষ্ট ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ কথা: চুলকানির কারণ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা তীব্র চুলকানির সাথে জ্বর, লাল ফুসকুড়ি বা শরীরের অন্য কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, এর পেছনের মূল কারণ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা না নিলে সমস্যাটি আরও জটিল হতে পারে।


চুলকানির সমস্যা এখন অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে, যার পেছনে বেশ কিছু আধুনিক জীবনযাত্রা এবং পরিবেশগত কারণ রয়েছে। এই কারণগুলো শুধু বাংলাদেশের নয়, বরং বিশ্বজুড়ে চুলকানির প্রভাব বাড়িয়ে দিচ্ছে।

বর্তমান সময়ে চুলকানির প্রভাব বেশি হওয়ার প্রধান কারণগুলো:

১. পরিবেশ দূষণ:

  • বায়ু দূষণ: বাতাসে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ, ধূলিকণা এবং অ্যালার্জেন ত্বকে সরাসরি প্রভাব ফেলে। এই দূষিত পদার্থগুলো ত্বকের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয় এবং চুলকানির মতো সমস্যার কারণ হয়।

  • জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ুর পরিবর্তন, বিশেষ করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। শুষ্ক ত্বক চুলকানির অন্যতম প্রধান কারণ।

২. পরিবর্তিত জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস:

  • প্রক্রিয়াজাত খাদ্য (Processed food): বর্তমানে আমরা প্রচুর পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত খাবার খাই। এসব খাবারে থাকা কৃত্রিম রঙ, সংরক্ষণকারী পদার্থ এবং অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান অনেকের ত্বকে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

  • অতিরিক্ত স্ট্রেস (Stress): মানসিক চাপ বা স্ট্রেস আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। স্ট্রেস বাড়লে ত্বকে প্রদাহ বাড়ে, যা একজিমা এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যাকে আরও খারাপ করে তোলে।

৩. রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার:

  • সাবান ও প্রসাধনী: বাজারে প্রচুর পরিমাণে সুগন্ধযুক্ত সাবান, শ্যাম্পু, এবং প্রসাধনী পাওয়া যায়, যাতে বিভিন্ন ধরনের কঠোর রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এই পদার্থগুলো ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট করে দেয় এবং অ্যালার্জির কারণ হয়।

  • পরিষ্কারক দ্রব্য: ঘরে ব্যবহৃত ডিটারজেন্ট এবং অন্যান্য পরিষ্কারক দ্রব্যে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলোও ত্বকের সংস্পর্শে এসে চুলকানি ঘটাতে পারে।

৪. অপর্যাপ্ত ঘুম:

  • ঘুমের অভাবে আমাদের শরীরের মেরামত প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ত্বক সহজে শুষ্ক হয়ে যায় এবং চুলকানির প্রবণতা বাড়ে।

৫. স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি:

  • এটি কিছুটা ইতিবাচক কারণ। মানুষ এখন স্বাস্থ্য এবং ত্বকের সমস্যা সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন। ফলে, ছোটখাটো চুলকানি হলেও তারা ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে বা এ বিষয়ে কথা বলছে। এতে মনে হতে পারে যে সমস্যাটি অনেক বেড়ে গেছে, যদিও এটি আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল কিন্তু মানুষ ততটা গুরুত্ব দিত না।

এই কারণগুলো একত্রিত হয়ে বর্তমান সময়ে চুলকানির সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। তাই এর প্রতিকার করতে গেলে শুধু ঔষধ ব্যবহার করলেই হবে না, বরং জীবনযাত্রা এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার দিকেও মনোযোগ দেওয়া জরুরি।

কি ধরনের খাবার খেলে চুলকানি কম হতে পারে ?


চুলকানি কমাতে বা এর প্রবণতা কমাতে খাদ্যাভ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু নির্দিষ্ট খাবার আছে যা শরীরের প্রদাহ (inflammation) কমিয়ে ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, আর কিছু খাবার আছে যা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।

চুলকানি কমাতে যে ধরনের খাবারগুলো খাওয়া উচিত, সেগুলো হলো:

১. প্রদাহ-বিরোধী খাবার (Anti-inflammatory foods)

  • ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার: এই ধরনের চর্বি শরীরের প্রদাহ কমায় এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। যেমন—সামুদ্রিক মাছ (স্যালমন, টুনা), আখরোট, এবং চিয়া সিড

  • ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার: ভিটামিন-ই ত্বকের সুরক্ষা এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়ক। বাদাম, বীজ এবং পালং শাকের মতো খাবারে প্রচুর ভিটামিন-ই থাকে।

২. প্রোবায়োটিকযুক্ত খাবার

  • দই (Yogurt): দই-এর মতো প্রোবায়োটিকযুক্ত খাবার পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, সুস্থ পেট ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং অ্যালার্জির প্রবণতা কমায়।

৩. ভিটামিন-সি ও কোয়ারসেটিন (Quercetin) সমৃদ্ধ খাবার

  • ভিটামিন-সি: এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। লেবু, কমলা, এবং পেয়ারা-তে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে।

  • কোয়ারসেটিন: এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিহিস্টামিন, যা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজ, আপেল, এবং বেরি-জাতীয় ফলে কোয়ারসেটিন পাওয়া যায়।

যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত

  • প্রক্রিয়াজাত খাবার: অতিরিক্ত চিনি, কৃত্রিম রঙ এবং প্রিজারভেটিভযুক্ত খাবার শরীরের প্রদাহ বাড়াতে পারে।

  • অতিরিক্ত দুগ্ধজাত পণ্য: কিছু মানুষের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে ত্বকের সমস্যা বাড়তে পারে।

  • অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী খাবার: যদি কোনো নির্দিষ্ট খাবারে আপনার অ্যালার্জি থাকে, যেমন—বাদাম, ডিম, শেলফিশ বা গ্লুটেন-যুক্ত শস্য, তবে সেগুলো সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা উচিত।

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পাশাপাশি, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাও জরুরি। এটি ত্বককে ভেতর থেকে আর্দ্র রাখে এবং শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে।

যেকোনো বড় ধরনের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের আগে বা যদি আপনার কোনো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তাহলে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Post a Comment

Previous Post Next Post